হাওজা নিউজ এজেন্সির রিপোর্ট অনুযায়ী, আয়াতুল্লাহ আরাফী নারীদের জন্য এ বছরের সেরা বইয়ের বিষয়ে আয়োজিত সম্মেলনে বক্তৃতাকালে বলেন, আমরা একটি সংবেদনশীল ঐতিহাসিক মুহূর্তে আছি যেখানে হজরত ফাতিমা জাহরা (সা.)-এর শিক্ষা ও চরিত্রকে ব্যবহার করে বর্তমান সময়ের চ্যালেঞ্জের সাথে মোকাবেলা করার জন্য একটি আলোকবর্তিকা হতে পারে। তার সংক্ষিপ্ত কিন্তু প্রভাবশালী জীবন কিভাবে একটি শক্তিশালী আধ্যাত্মিক ভিত্তি মানব সভ্যতাকে পরিবর্তন করতে পারে তার একটি উদাহরণ।
আয়াতুল্লাহ আরাফী নারীদের একাডেমিক ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, আগামী ১০ থেকে ২০ বছরে আমাদের অন্তত ১০০ উচ্চ-স্তরের চিন্তাবিদ, দার্শনিক, আইনশাস্ত্রবিদ এবং ভাষ্যকার প্রস্তুত করতে হবে।
তিনি বলেন, একাডেমিক ও সাংস্কৃতিক নেতৃত্বের জন্য ধর্মীয় মাদ্রাসা, বিশেষ করে নারী মাদ্রাসাগুলোকে প্রস্তুত করা এখন সময়ের প্রয়োজন।
তিনি জোর দিয়ে বলেন যে পশ্চিমা সভ্যতা, যা ব্যক্তিত্ববাদ, হেডোনিজম এবং পরিবার ব্যবস্থার দুর্নীতির উপর ভিত্তি করে বিদ্যমান পরিবার ব্যবস্থাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে।এর বিপরীতে ইসলামী সংস্কৃতির ভিত্তিতে একটি শক্তিশালী পারিবারিক কাঠামো গড়ে তোলা প্রয়োজন।
আয়াতুল্লাহ আরাফী হজরত ফাতিমা জাহরা (সা.)-এর ব্যক্তিত্বকে মানব সভ্যতা গঠনের নেত্রী হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
তিনি বলেছেন যে তাঁর প্রার্থনা এবং উপাসনা কেবল আধ্যাত্মিক বিশ্বকে আলোকিত করেনি, তিনি এমন একজন ব্যক্তি যিনি মানুষের বোঝাপড়া এবং সভ্যতায় একটি নতুন মাত্রা দিয়েছেন। তাদের সংগ্রাম ইসলামী সভ্যতার ভিত্তি স্থাপন করেছিল এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য আলোর সঞ্চার করেছিল।
তিনি বলেন, ইসলামী শিক্ষাকে বাস্তবে বাস্তবায়নের জন্য তাত্ত্বিক ও বাস্তব সংগ্রামের প্রয়োজন রয়েছে।আমাদের বৌদ্ধিক ভিত্তিগুলিকে আধুনিক প্রয়োজনীয়তার সাথে খাপ খাইয়ে নিতে হবে এবং নতুন বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব তৈরি করতে হবে, যাতে কার্যকরভাবে পশ্চিমা প্রভাব মোকাবেলা করা যায়।
শেষে তিনি বলেন যে ফাতেমীয় সংস্কৃতি গ্রহণ এবং সংগ্রাম এই সংকটময় মোড়ে ইসলামী বিপ্লবকে শক্তিশালী করতে পারে। এ লক্ষ্যে মাদ্রাসা ও একাডেমিক প্রতিষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
আপনার কমেন্ট